পুরস্কারের অর্থ বন্যার্তদের দিলেন লিটন 

পুরস্কারের অর্থ বন্যার্তদের দিলেন লিটন 

পাকিস্তানের বিপক্ষে দারুণ ব্যাটিং করে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতে পাওয়া সব অর্থ বাংলাদেশে বন্যার্তদের দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। একই ম্যাচে দারুণ ব্যাটিং করেছেন লিটন দাসও।যে কারণে ‘এনার্জেটিক ব্যাটার অব দ্য ম্যাচ’ পুরস্কার বাগিয়ে নিয়েছেন তিনি। এই পুরস্কারের অর্থ তিনি মুশফিকের মতোই বন্যার্তদের জন্য দেবেন বলে জানিয়েছেন ‘এলকেডি’।

পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে ঐতিহাসিক জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ১০ উইকেটের জয়টি পাকিস্তানের বিপক্ষে তাদের প্রথম জয়। ইতিহাসগড়া এই জয়টি বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত উৎসর্গ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের উদ্দেশ্যে। দুর্বার ইনিংস খেলে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতা মুশফিকুর রহিম তার প্রাইজমানি দেশের বন্যার্তদের সহায়তায় দান করেছেন। 

লিটন কুমার দাসও দাঁড়ালেন বন্যার্তদের পাশে। পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক এই জয়ের পথে ব্যাট হাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন লিটন। দলের প্রথম ইনিংসে ৭৮ বলে ৮ চার ও ১ ছয়ে ৫৬ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি। যে কারণে ‘এনার্জেটিক ব্যাটার অব দ্য ম্যাচ’ পুরস্কার পেয়েছেন লিটন। এই পুরস্কারের অর্থমূল্য ১ লাখ পাকিস্তানি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪৩ হাজার টাকা)। এই পরিমাণ অর্থ তিনি বাংলাদেশের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যার্থে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

রোববার (২৫ আগস্ট) ম্যাচ জয়ের পর নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে লিটন লেখেন, পাকিস্তানকে প্রথমবার টেস্ট ম্যাচে হারিয়েছি, সেখানে অবদান রাখতে পেরে আনন্দিত ও গর্বিত। দেশে বন্যা পরিস্থিতির কারণে এই জয়টাও ঠিকমত উপভোগ করতে পারছি না, মনটা পড়ে আছে দেশে। আমি এই ম্যাচে এনার্জেটিক প্লেয়ার অব দ্যা ম্যাচ পুরষ্কার হিসাবে প্রাপ্ত অর্থ বন্যার্তদের জন্য দেবার ঘোষণা দিচ্ছি। যারা দেশে আছেন, তারা সবাই সামর্থ্য অনুযায়ী এগিয়ে আসুন। যত বিপদ, তত ঐক্য। বাংলাদেশ হারবে না।

এর আগে ম্যাচসেরার পুরস্কার হিসেবে পাওয়া অর্থ বন্যার্তদের দান করেন মুশফিক। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, আমার দলের অনুরোধে এই প্রাইজমানি বন্যার্তদের দান করতে চাই। আমি দেশের সবাইকে অনুরোধ করব, যাদের সামর্থ্য আছে সবাই যাতে এগিয়ে আসে।

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *